বিশ্ব হিজাব দিবসে ইসলাম গ্রহণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের নারী
নারীরা কাপড়ের একটি টুকরো মাথায় পরছে, আর তাতে সম্প্রতি সময়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো কোনো দেশে তা পরতে আইন করা হচ্ছে, কোনো কোনো দেশে তা পরতে সাধারণ অনুমতি দেয়া হচ্ছে আবার কোনো কোনো দেশে তা নিষি;দ্ধ করা হচ্ছে।






কিন্তু হিজাব পরার সহজ উত্তর হলো, নারীর জন্য পবিত্রতার প্রতীক হলো হিজাব। এটি নারীর জন্য মহান আল্লাহর বিধান। তিনি প্রত্যেক ঈমানদার নারীর জন্য হিজাব পরাকে আবশ্যক করেছেন। ঈমানদার নারীরা আল্লাহর বিধান পালনে তা পরতে বাধ্য।
এদিকে হিজাব দিবস পালন করে ইসলামের আলোয় আলোকিত হন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আশলি পিয়ারসন খান। ২০১৯






সালে জুনে ইসলাম গ্রহণ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল বাইবেল বেল্ট অঙ্গরাজ্যের আরকানসাসে বেড়ে ওঠেন। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ খ্রিস্টান হওয়ায় সবাই নিয়মিত গির্জায় যাওয়া-আসা করে। তাই ভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আশলির
জানার সুযোগ ছিল না। কলেজপর্যায়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভিন্ন বর্ণের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হয়। খবর ইসলাম চ্যানেল।






একবার এক অনুষ্ঠানে আশলি যোগ দেন। তাতে আমেরিকান শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেছিল। তখন বোরকা পরা সৌদি বংশোদ্ভূত এক নারীর সঙ্গে আশলির বন্ধুত্ব তৈরি হয়। উভয়ের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব
গড়ে ওঠে। এরপর বন্ধু থেকে আশলির ভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানার সুযোগ হয়। পরবর্তীতে পড়াশোন শেষ করে সৌদি বন্ধু দেশে ফিরে যান। পরের বছর আশলি কলেজে পাঠ সম্পন্ন করেন।






২০১৭ সালে বিশ্ব হিজাব দিবস সম্পর্কে জেনে তাতে অংশগ্রহণের ইচ্ছা করেন আশলি। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে হিজাব দিবস উদযাপন করেন। হিজাব দিবস পালন করে আশলি সবার কাছে বিশেষত মুসলিমদের কাছে খুবই প্রশংসিত হন। এ বছর বিশ্ব হিজাব দিবস উদযাপনের অ্যাম্বাসাডর হন আশলি।
২০১৮ সালে নিজ উদ্যোগ একটি ইভেন্টের পরিকল্পনা করেন। স্থানীয় মসজিদের সঙ্গে যোগাযোগ বৈঠক করেন। তখন এক লোক আশলিকে কোরআনের দুই কপি উপহার হিসেবে দেন। বৈঠকের আগে লোকটি বলেছিল, ‘আপনি জানবেন,






মিডিয়া আমাদের ধর্মকে ভুলভাবে চিত্রায়ণ করে।’ এ কথা আশলিকে মর্মাহত করে। এরপর তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
অতঃপর আশলি ৩০ দিনের হিজাব চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করেন। প্রথমবার আশলি রমজান পালন করেন। রমজান মাসে মসজিদে সবাইকে নামাজ আদায় করতে দেখতেন। ইসলাম সম্পর্কে যতই জানছিলেন ততই নিজের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন






অনুভব করেন তিনি। একদিন তিনি নিজ বন্ধুকে ইবাদত করার পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। রমজানের শেষপর্যায়ে এসে ইসলামের প্রতি তীব্র ভালোবাসা উপলব্ধি করেন। রমজানের শেষ দিন আশলি কলেমা পাঠ করে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন।