সুখী হতে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিৎ?

স্বামী-স্ত্রীর সুস্থ সম্পর্ক অনেক কারণে হতে পারে। উভয় পক্ষ যদি সামঞ্জস্য ও আপোষ থাকে যা একটি সফল বিবাহিত জীবনের পথ তৈরি করে। সাধারণত যে বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ থাকে তার মধ্যে একটি হল স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য। চলুন তাহলে আজ জেনে নেওয়া যাক স্বামী স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য কত হওয়া ভালো-

১। স্বামী যদি স্ত্রীর চেয়ে ছোট হয় তাহলে তাহলে একটি সমস্যা দেখা দিতে পারে। আজকাল প্রেমের বিয়েতে এটি প্রচলিত হয়ে উঠছে। কারণ প্রেম অন্ধ এবং বয়সের সীমা অনুসরণ করে না। তবে কখনও কখনও পরিপক্কতার সমস্যা দেখা দেয়। এটি একটি পরিচিত সত্য যে মহিলারা একই বয়সের পুরুষদের তুলনায় আগে পরিণত হয়। তাই স্বামীর বয়স কম হলে, তিনি বিয়ের সময় যথেষ্ট পরিণত নাও হতে পারেন এবং মেয়েরা নতুন সংস্কৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।

২। স্বামী যদি স্ত্রীর চেয়ে তিন থেকে পাঁচ বছরের বড় হয় তাহলে সম্পর্কটা সবচেয়ে ভালো হয়। কারণ স্বামীর চেয়ে স্ত্রী আগে পরিপক্ক হয়। তাই স্বামীর বয়স তিন থেকে পাঁচ বছর বেশি হলে পরিপক্কতার দিক থেকে দুজনের বয়স সমান হয়।  তাই দুজন মিলে চলতে সমস্যা কম হয়।

৩। বয়সের সাথে মানুষের গোপন চাহিদা পরিবর্তন হয়। তাই একজনের চাহিদা বেশি আবার আরেকজনের কম হলে দুজনের মধ্যে আকর্ষণ কমতে থাকে। ফলে দাম্পত্য কলহ হয়। যেমন ধরুন একজন নারীর বয়স বিশ বছর আর তার স্বামীর বয়স পঁয়ত্রিশ বছর। পনের বছর পরে নারীর বয়স হবে পঁয়ত্রিশ, আর তখন সে পরিপক্ক নারী ও তার চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু স্বামীর বয়স তখন হবে পঞ্চাশ। তার চাহিদা তখন ভাটা পড়বে। ফলে এতে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিবে।

৪। স্বামীর বয়স যদি দশ থেকে পনের বছর বেশি হয় তাহলে দুজনের মধ্যে একটি অমিল দেখা দিতে পারে। কারণ বয়সের সাথে মানুষের চাওয়া পাওয়ার ভিন্নতা আছে। তাই বয়সের ব্যবধান বেশি হলে দুজনের শখ, চাওয়া-পাওয়া অভিরুচিতে বড় ধরনের মতবিরোধ দেখা দেয়। তাই বয়সের ব্যবধান এত বেশি হওয়া উচিত নয়।

৫। স্বামী স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান অনেক বেশি হলে সন্তান ধারণ ও তার লালন পালনেও সমস্যা হয়। তাছাড়া নারীর বয়স যদি একেবারেই কম হয় তখন সন্তান জ’ন্ম’দানের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে।