তুরস্কে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের মুখে এরদোগান
তুরস্কে বিক্ষোভ দ্রুতগতিতে চলছে। গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বীকে আটক করার পর দেশটি এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় বি*ক্ষোভের সাক্ষী হচ্ছে।
রবিবার একটি আদালত মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রে’প্তার করেছে, যাকে গত সপ্তাহে আটক করা হয়েছিল এবং দু’র্নীতির অভিযোগে বিচারের জন্য কা’রাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইমামোগলুকে আটকের ফলে দেশজুড়ে ব্যাপক বি*ক্ষোভ শুরু হয়েছে।
এরপর, সোমবার, তুরস্কের কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে।
বিরোধীরা “এরদোগানপন্থী” মিডিয়া বয়কট করার দাবি জানালে এটি ঘটে, যারা বি*ক্ষোভের খুব একটা নজরে আসেনি।
একটি মিডিয়া ইউনিয়ন জানিয়েছে যে সোমবার এক কঠোর অভিযানে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে তাদের বাড়িতে আ’টক করেছে।
ডিস্ক-বেসিন-ইস মিডিয়া কর্মী ইউনিয়ন জানিয়েছে যে কমপক্ষে আটজন সাংবাদিক এবং ফটোসাংবাদিককে আটক করা হয়েছে যাকে তারা “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং জনগণের সত্য জানার অধিকারের উপর আক্রমণ” বলে অভিহিত করেছে। তারা তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া বলেছেন, মেয়রকে তার বাড়িতে গ্রে’প্তার করার পর থেকে মোট ১,১৩৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভে ১২৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, তিনি আরও বলেন যে অ্যাসিড, আ’গুনের বো**’মা এবং ছু’*রি’র মতো উপকরণ জ’ব্দ করা হয়েছে।
“কিছু মহল সমাবেশ ও বি’ক্ষোভের অধিকারকে কাজে লাগিয়ে জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার, রাস্তায় অ’স্থিরতা উ”স্কে দেওয়ার এবং আমাদের পুলিশকে আ*ক্রমণ করার চেষ্টা করছে,” ইয়েরলিকায়া সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন।
মন্ত্রী দাবি করেছেন যে আটককৃতদের মধ্যে কিছুকে স*ন্ত্রা’সী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং অন্যদের অ’পরাধমূলক রেকর্ড রয়েছে।
ইমামোগলুর সমর্থনে তুরস্ক জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ব্যাপকভাবে শান্তিপূর্ণ বি*ক্ষোভে অংশ নিয়েছে।